বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন

আকিকার মাংসের বিধান

আকিকার মাংসের বিধান

সন্তান জন্মের সপ্তম দিন পশু জবাইয়ের মাধ্যমে আকিকা করতে হয়। পুত্রশিশু হলে দুটো পশু ও কন্যাশিশু হলে একটি পশু জবাই করতে হয়। অনেকে আকিকার মাংস নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান। এ মাংস কীভাবে খাওয়া হবে? নিজে খেতে পারবেন কি না? ইসলামের বিধান হচ্ছে, আকিকা করার পর তার মাংস নিজেও খাওয়া যায়, মানুষকেও খাওয়ানো যায়, গরিবদেরও দান করে দেওয়া যায়। আকিকার মাংস হাদিয়াও দেওয়া যায়। তবে সাধারণ অবস্থায় মাংস হাদিয়া দেওয়ার চেয়ে রান্না করে খাওয়ানো উত্তম।
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) আকিকার মাংসের বিধান বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, টুকরো টুকরো করে কেটে রান্না করে নিজে খাবে এবং খাওয়াবে (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, বর্ণনা : ২৪৭৪৪)। ইমাম নববী (রহ.) বলেন, মুস্তাহাব হলো আকিকার মাংস, যা কাঁচা সদকা করবে না; বরং তা রান্না করে খাওয়াবে (আল মাজমু : ৮/৪১০)।
ইবনে কুদামা (রহ.) বলেন, আকিকার মাংস রান্না করে ভাই-বেরাদর (আত্মীয়-স্বজনকে) দাওয়াত করে খাওয়ানো উত্তম (আল মুগনি : ১৩/৪০০)। প্রকাশ থাকে যে, বর্তমানে বিভিন্ন দাওয়াতের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আকিকার দাওয়াতেও বেগানা নারী-পুরুষের একসঙ্গে খাওয়া, একই স্থানে বসা এবং উপঢৌকন দেওয়া-নেওয়ার আয়োজন করা হয়। আবার অনেক জায়গায় এটিকে জরুরিও বানিয়ে ফেলা হয়েছে। অথচ এসবই শরিয়তে নিষিদ্ধ। তাই দাওয়াত করে আকিকার গোশত খাওয়াতে চাইলে শরিয়তে নিষিদ্ধ এমন সব কাজ থেকে দাওয়াতের অনুষ্ঠানকে মুক্ত রাখতে হবে।
Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana